অপূর্ব শর্মা’র ‘চা বাগানে গণহত্যা : ১৯৭১’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসগ্রন্থের মধ্যে ‘চা বাগানে গণহত্যা : ১৯৭১’ বইটি একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা যেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটেছিল তার কিছু অন্ধকারে ঢাকা অধ্যায় গ্রন্থকার তুলে এনেছেন পরম মমতায়। এটি আমাদেও যেমন সমৃদ্ধ করেছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানি এবং বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের নতুন সুযোগ করে দিয়েছে। চা বাগানের জনগোষ্ঠি যারা স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ওপর কী বর্বরতা নেমে এসেছিল সেটিই গ্রন্থিত হয়েছে এই বইয়ে।’

সাংবাদিক, গবেষক অপূর্ব শর্মা রচিত ‘চা বাগানে গণহত্যা : ১৯৭১’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মদন মোহন কলেজ সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোকসংস্কৃতি গবেষক এবং মদনমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতি সেবক লোকমান আহমদ, লেখক-গবেষক অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা।

মূখ্য আলোচক ছিলেন- কবি-গবেষক, অধ্যাপক নৃপেন্দ্রলাল দাশ। আলোচক ছিলেন- লেখক, কবি ও গবেষক এ.কে শেরাম, লেখক, অনুবাদক ও রবীন্দ্র গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী, গল্পকার অধ্যাপক, তাপসী চক্রবর্তী, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক হোসনে আরা কামালী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন মদন মোহন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মদন মোহন কলেজের প্রভাষক উজ্জল দাশ।

বক্তারা বলেন, একক প্রচেষ্টায় এধরনের অনুসন্ধানী কাজ করা দুঃসাধ্য। সেকাজটিই করেছেন গ্রন্থের প্রণেতা অপূর্ব শর্মা। আমরা চাইবো সরকার যেনো চা বাগানগুলোতে শহিদ হওয়া জনগোষ্ঠির ইতিহাস তুলে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে অপূর্ব শর্মা অনেকটাই এগিয়েছেন বলে এটি আরো সহজ হবে।

বক্তারা বইটির বহুল প্রচার এবং ভাষান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, একজন তরুণ লেখক হিসেবে অপূর্ব শর্মা তার কাজ দিয়ে আমাদের ঋণি করেছেন মুগ্ধও করেছেন। গ্রন্থে যেসকল সীমাবদ্ধতা আছে তা আগামী সংস্করণে পূর্ণ করারও আহ্বান জানান তারা।

সিলেটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকম এ প্রকাশিত